[caption id="attachment_166" align="alignright" width="300"] হটাৎ বন্ধ সিএনজি অটোরিকশা: দুশ্চিন্তায় চালকরাও[/caption]
স্টাফ রিপোর্টার: উত্তরের চিকিৎসা রাজধানী খ্যাত রংপুরে প্রতিদিন স্বাস্থ্য-সেবা নিতে আসে আশপাশের জেলার হাজারো মানুষ। এক সময় লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী, কালিগঞ্জ, হাতিবান্ধা ও পাটগ্রামের মানুষ লালমনিরহাট জেলাশহর হয়ে রংপুর প্রবেশ করতেন। এতে সময়ের সাথে ভোগান্তি পোহাতো তারা।
শেখ হাসিনা দ্বিতীয় তিস্তা সেতু (মহিপুর সেতু) চালু হওয়ার পর স্বস্তি নেমেছে এই চার উপজেলার মানুষের। আঞ্চলিক সড়ক হয় বাস চলাচল করেনা এই সড়কে। সহজেই রংপুর যাতায়াতের একমাত্র ভরসা তিন-চাকার বাহন সিএনজি। দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কে সিএনজিতে চলাচল করে লালমনিরহাটের চার উপজেলার মানুষ।
দীর্ঘদিন চললেও অদৃশ্য কারণে কাকিনা-মহিপুর সড়কে হঠাৎ বন্ধ রয়েছে সিএনজি চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। অন্যদিকে পরিবার নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে শতাধিক সিএনজি চালক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় একটি পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ে ব্যাংকের মোড় সিএনজি স্ট্যান্ডে মাসিক ত্রিশহাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা দিতে সিএনজি চালকরা অস্বীকার করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সিএনজি স্ট্যান্ড কেন্দ্রীক মাসে অর্ধকোটি টাকা চাঁদা আদায় হয় এমন শিরোনামে একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করা হয়। ভিডিও ক্লিপটি দেখে চালকদের মনে ভীতি সৃষ্টি হলে সড়কে গাড়ি বের না করে আতংকে দিন পার করছে তারা।
এদিকে যাত্রীরা বলছেন, সিএনজি বন্ধ হওয়ায় ইজিবাইকে কালিগঞ্জ ও হাতিবান্ধা যেতে সময় লাগে দ্বিগুণ। ডাক্তার দেখাতে এসে রাত হয়ে যাওয়ায় গাড়ি না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। সিএনজিতে কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে এবং নিয়মিত অনেকেই রংপুর এসে নিজ কর্মস্থলে কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে পারে বলে দাবী যাত্রীদের।
পরে বিভিন্ন স্থানে সিএনজি আটক করে মামলার ভয়ে সিএনজি চলাচল বন্ধ রাখে চালকরা। চালকদের দাবী, তারা দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে গাড়ি চালিয়ে আসছে তা যেন বন্ধ না হয়। এই সড়কে সিএনজি চলাচল বন্ধ হলে শতাধিক পরিবারকে না খেয়ে থাকতে হবে। বন্ধ হবে তাদের সন্তানদের লেখাপড়া এমনটাই দাবী তাদের।
শতাধিক সিএনজি চালকের পরিবার ও হাজারো যাত্রীদের সুবিধার্থে প্রশাসন সহায়ক ভূমিকা রাখবেন এমনটাই প্রত্যাশা চালক ও যাত্রীদের।