মধ্যপ্রাচ্য
সংঘাতে ইসরাইল-ফিলিস্তিন, লাভ পুতিনের! কি সুবিধা পেতে যাচ্ছেন
- প্রকাশের সময় : ০৭:৪৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩ ১১৮ বার পঠিত
বর্তমান পরিস্থিতিতে এমনটা কল্পনা করাই যায় যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি পাহাড়ি আস্তানায় বসে আছেন বিপুল ক্ষমতার আধার হিসেবে থাকা একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সামনে, আর বিশ্বজুড়ে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
তিনি একটি বোতাম টিপছেন আর বলকান অঞ্চলে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। তিনি আরেকটি বোতাম টিপছেন এবং মধ্যপ্রাচ্য বিস্ফোরিত হচ্ছে। এমনটা কল্পনা করা যায়… তবে সম্ভবত সত্য নয়। এটা বৈশ্বিক পর্যায়ে রুশ প্রেসিডেন্টের প্রভাবকে অতিরঞ্জিত করে তুলে ধরে।
হ্যাঁ, রাশিয়ার সম্পর্ক রয়েছে হামাসের সঙ্গে এবং দেশটি ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র। যুক্তরাষ্ট্রের মতে, বর্তমানে মস্কো ও তেহরানের পূর্ণ মাত্রায় প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব রয়েছে। তবে এতে এটা বোঝায় না যে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় মস্কোর সরাসরি সম্পৃক্ততা আছে বা তারা এ বিষয়ে আগেই জানত।
চলতি সপ্তাহে মস্কোয় ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার বেন জ্বি রুশ পত্রিকা কোমারসেন্তকে বলেছেন, ‘আমরা মনে করি না যে, রাশিয়া কোনোভাবে সম্পৃক্ত।’ ইসরায়েলে হামাস যে নৃশংসতা চালিয়েছে তাতে রাশিয়ার সম্পৃক্ততার কথা বলাটা ‘সম্পূর্ণ নির্বুদ্ধিতা’।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জেমস মার্টিন সেন্টার ফর নন-প্রোলিফারেশন স্টাডিজের রাশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হান্না নোট্টে বলেছেন, ‘রাশিয়া সরাসরি হামাসকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে বা হামাস সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছে, এমন কিছুর প্রমাণ আমি দেখছি না। তবে এটা সত্য যে, হামাসের সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক রয়েছে। রাশিয়া কখনো হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করেনি। হামাসের প্রতিনিধিরা গত বছর ও এ বছর মস্কো সফর করেছেন।’
বার্লিনভিত্তিক এই গবেষক আরও বলেন, ‘তবে এ থেকে আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি না যে, তাদের মধ্যে বিরাট সামরিক সহায়তার বিষয় রয়েছে। এমনকি যদিও রাশিয়ার তৈরি সামরিক ব্যবস্থা গাজা উপত্যকায় পৌঁছেছে। সম্ভবত তা ঘটেছে ইরানের সহযোগিতায় সিনাই উপদ্বীপ (মিশরের) হয়ে।’
বিষয়টি এভাবেও বলা যায় যে, প্রেসিডেন্ট পুতিন বোতামে টিপ দিয়ে ‘মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধ’ শুরু করেননি।
কিন্তু তিনি এখন এর সুফল ঘরে তোলার জন্য প্রস্তুত?
অবশ্যই। কীভাবে সেটা সম্ভব, তা তুলে ধরা হল:
১. ইউক্রেন থেকে নজর সরানো।
২. রাশিয়ার মধ্যস্থতা?
৩. আমেরিকাকে দোষারোপ।